কল্পলোক
আমি ঘুমাই না সহস্র বছর।
পৃথিবীর পানে চেয়ে আমি –
রাত্রি কে দেই পাহারা।
আমি শূন্যে ঘুরি,পূর্ন্যে হাঁসি।
রাক্ষসী বেশে করি নিদ্রা নিধন!
আমি চাতক হয়ে মহাকাশ পানে তাকাই!
দেখি পাখিদের মিলনমেলা!
আমি প্রেম বিরহের গল্প শোনাই
শূন্যে ভাসি,একলা হাঁসি।
আমি অক্ষিকোটরে আবব্ধ করি-
ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গিহীন দাঁড়িয়ে থাকা।
আমি রাস্তায় পরে থাকা কান্নারত কুকুর দেখি!
আমি দেখি এক টুকরো রুটির সন্ধানে –
শহর নিংড়ানো পাগল টাকে।
কংক্রিটের শহরে রেললাইন এ শুয়ে থাকা –
অবলোকন করি পথশিশুকে।
দেখি রাতের আঁধারে বৃক্ষ-ছায়ার প্রেম লীলা!
আমি নর্তকী হয়ে দেই তল্লাটে পাহারা!
রাতবিরেতে ছায়া হয়ে জমাই মদের আসর!
প্রেমিক বেশে করি গোটা শহরে আহাজারি।
প্রেমিকা হয়ে ছায়া লোকে প্রেমিকের শরীর ছুঁয়ে দেই।
১০৩° জ্বরের ঘোরে প্যারাসিটামল এর বদৌলতে-
অলৌকিক চুমু এঁকে দেই!
আমি উন্মাদ হয়ে ঘুরি,
ছায়াদের বুকে মিলাই
আমি দেখি দলবেঁধে পাখিদের উড়ে যাওয়া।
ডাহুকের গানে গলা মিলিয়ে-
ভালোবাসার নামে নালিশ করি,পৃথিবীর পানে।
আমি পক্ষী সভায় অতিথি হয়ে,
বন্ধ করে দিতে বলি
কোকিলের পাগল করা সুর।
আমি কাকেদের ইশারা দিয়ে শহর মাতাতে বলি!
আমি পৃথিবীর বুকের আলো ছিনিয়ে বিষাদ ঢেলে দেই।
আমি তন্দ্রাকে চির শায়িত করে রাত্রিকে দেই পাহারা!
পৃথিবীর পানে শনি রাহু কে আকৃষ্ট করে-
ধরণী হাতিয়ে বেড়াই।
আমি তটিনীর সেবিকা হয়ে শ্যাওলার বুকে মাথা ডুবাই।
মৎস কন্যার সহীত সন্ধী পেতে পাপের বিনষ্ট করে,
ধরণীকে শুদ্ধতায় ডুবাই।
রাত্রির বুকে চিরসজ্জীত বিনিদ্র আসন গেড়ে,
ফের ধরিত্রীর সেবিকা হই!
বিদ্রষ্টঃনাহ!আজ কাউকে লিখি নি,কল্পনাকে লিখলাম!
৩০-০৫-২১
Leave a Reply